হ্যালো, আমার নাম রোকেয়া ইয়াসমিন। আমি একজন তরুণ বাংলাদেশী মহিলা এবং বিএনপির একজন উত্সাহী সমর্থক, সেইসাথে বাংলাদেশে নারী অধিকারের একজন উকিল। আমি বিএনপির নিবন্ধিত সদস্য না হলেও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি আমার পরিবারের সবাই দলের সমর্থক।
আমার পরিবার ও দেশের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা রয়েছে। বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, বিশেষ করে ধারাবাহিকভাবে নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার ক্ষেত্রে। তবে আমাদের দেশের রাজনীতির অবস্থা দেখে আমি হতাশ।
শেখ হাসিনা নিজে একজন নারী হয়েও স্বৈরাচারের প্রতি ঝোঁক দেখিয়েছেন। অন্য মহিলার সম্পর্কে খারাপ কথা বলা আমাকে কষ্ট দেয়, কিন্তু আমাদের সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। শেখ হাসিনা ও তার দল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তারা দেশকে শক্ত করেছে, স্বৈরাচারের মতো চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের রেকর্ড উদ্বেগজনক, তাদের নজরে অগণিত নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা অত্যাবশ্যক। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আইন ও গণতন্ত্রের অবক্ষয়কে নির্দেশ করে। এসব হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তির মৌলিক অধিকারই লঙ্ঘন করে না, গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তিও নষ্ট করে। আমাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের নিন্দা করা এবং শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগ দলের কাছে জবাবদিহি দাবি করা দরকার। সম্মিলিত পদক্ষেপ এবং অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে আমরা এই মানবাধিকারের ভুলের অবসান ঘটাতে পারি। এছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নারীদের দুর্দশা আরো খারাপ হয়েছে। মানবতার বিরুদ্ধে তাদের অপরাধের প্রমাণ অপ্রতিরোধ্য, এবং আমাদের তাদের সমাধান করা অপরিহার্য।
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব জাতির জন্য প্রকৃত উদ্বেগের চেয়ে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা দ্বারা চালিত বলে মনে হয়। তার স্বৈরশাসক পিতার হত্যার প্রতিশোধের জন্য তার নিরলস সাধনা তার রায়কে মেঘলা করেছে এবং আমাদের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে। যদি প্রতিবাদ না করে চলতে দেওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশ একটি স্থায়ী স্বৈরশাসনে নামার ঝুঁকি নিয়ে, আমরা কি আমাদের দেশের ভবিষ্যত চাই?
এই সাইটটি শেখ হাসিনার সরকারের দ্বারা সংঘটিত নৃশংসতার প্রতিবেদনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে, স্বাধীন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং নিউজ আউটলেটগুলি থেকে প্রাপ্ত। আমি আশা করি, এই অন্যায়গুলোকে সামনে এনে আমরা আমাদের জাতির জনগণকে আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও তার দলকে পুনর্নির্বাচিত করার বিপদ সম্পর্কে জাগ্রত করতে পারব।
আমাদের অবশ্যই আমাদের দেশ, আমাদের স্বাধীনতা এবং আমাদের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করতে হবে।