Provat Bangla

রাজধানীতে জামায়াতের সমাবেশ আজ

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আজ বেলা ২টায় সমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী। কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন, জামায়াত আমির ডা: শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে এ সমাবেশের আহবান করেছে দলটি। এর আগে ৫ জুন একই কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নিলেও কর্মদিবস হওয়ার কারণ দেখিয়ে পুলিশ অনুমতি না দেয়ায় শেষ পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত করে আজকের ছুটির দিনে সমাবেশ আহবান করে জামায়াত। প্রথম দিকে সমাবেশের সাথে বিক্ষোভ মিছিল করতে চাইলেও পরে শুধুমাত্র সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এ ব্যাপারে পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে গত ৫ ও ৬ জুন দুই দফা ডিএমপিতে আবেদন জমা দেয় তারা। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো পুলিশের অনুমতি পায়নি দলটি। এ দিকে সমাবেশ বাস্তবায়নে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াত। বিভিন্ন বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন দলটির নেতারা।

ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারি সমাবেশ : আজকের সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার রাতে ওয়ার্ড সভাপতি ও সেক্রেটারিদের নিয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকির ও অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন প্রমুখ।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, দেশের সংবিধান মোতাবেক আমরা সব কর্মসূচি পালনের অধিকার রাখি। ক্ষমতাসীনদের দীর্ঘ পনেরো বছরের দুঃশাসনে দেশের জনগণ চরম অতিষ্ঠ। চাল, ডাল, তেল, আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ গ্যাস সবকিছুর মূল্য আকাশচুম্বী এবং তা মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা আজ দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় আমরা জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। তিনটি মৌলিক দাবিতে সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই সমাবেশ বাস্তবায়ন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি। সমাবেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা পুলিশের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি দায়িত্বশীলদের আরো বলেন, জনগণের মুক্তির জন্য, দেশকে অপশাসন ও দুঃশাসন হতে মুক্ত করতে ১০ জুন জামায়াতের সমাবেশ। ফলে ইসলাম, মানবতা এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এই সমাবেশকে একটি মাইলফলক হিসেবে গ্রহণ করে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। ধৈর্য এবং শৃঙ্খলার চরম উদাহরণ পেশ করে মাথা ঠাণ্ডা রেখে সব ধরনের পরিস্থিতি উত্তরণের চেষ্টা করতে হবে। কুচক্রী মহলের ফাঁদে পা দিয়ে কারো সাথে কোনো ধরনের ঝামেলায় জড়িত হওয়া যাবে না।

মানুষ জালেম সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না- অধ্যাপক মুজিবুর রহমান : দেশ এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সরকার জুলুম-নির্যাতন, গুম, খুন, লুণ্ঠন, হামলা-মামলা, দমন-উৎপীড়ন এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে দেশে জুলুমতন্ত্র কায়েম করেছে। তারা দেশ পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনগণের নাভিশ্বাস। বর্তমান জালেম সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে জামায়াতে ইসলামীর প্রায় সোয়া লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাজানো ও মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের ওপর দমন-পীড়নের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান জালেম সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

Related Posts